মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই
দীন দুখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই
দীন দুখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই
ওই মোটা সুতোর সঙ্গে মায়ের অপার স্নেহ দেখতে পাই…….
ওই মোটা সুতোর সঙ্গে মায়ের অপার স্নেহ দেখতে পাই…….
আমরা এমনি পাষাণ তাই ফেলে ওই পরের দোরে ভিক্ষে চাই
এমনি পাষাণ তাই ফেলে ওই পরের দোরে ভিক্ষে চাই
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই
দীন দুখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই
ওই দুঃখী মায়ের ঘরে তোদের সবার প্রচুর অন্ন নাই
ওই দুঃখী মায়ের ঘরে তোদের সবার প্রচুর অন্ন নাই
তবু তাই বেচে কাঁচ সাবান মোজা কিনে করলি ঘর বোঝাই
তাই বেচে কাঁচ সাবান মোজা কিনে করলি ঘর বোঝাই
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই
দীন দুখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই
আয় রে আমরা মায়ের নামে এই প্রতিজ্ঞা করব ভাই……
আয় রে আমরা মায়ের নামে এই প্রতিজ্ঞা করব ভাই……
পরের জিনিষ কিনব না যদি মায়ের ঘরের জিনিষ পাই
পরের জিনিষ কিনব না যদি মায়ের ঘরের জিনিষ পাই
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই
দীন দুখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই
দীন দুখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই
দীন দুখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেরে ভাই; দীন দুখিনি মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই”। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকালে বাংলার ‘কান্তকবি’ তথা রজনীকান্ত সেনের দেশাত্মবোধক এই গান আপামর ভারতবাসীর মনে আজো প্রেরণা যোগায়। বুঝতে শেখায় জীবনে মায়ের মূল্য। উনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত কবি, গীতিকার একাধারে সুরকার বাঙালি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকা রজনীকান্ত সেনের ২৬ জুলাই ১৫৪তম জন্মদিবস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন রজনীকান্তের গানের পরম ভক্ত। কবিগুরুকে প্রথম সাক্ষাতের দিনই তিনি গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ আবিষ্ট হয়ে পড়েন তাঁর গানে। গীতিকার রজনীকান্ত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সমসাময়িক। তাঁর ডায়েরিতে পাওয়া যায়, তিনি যে কোনদিনই পড়াশুনায় মনোযোগী ছিলেন না, তার প্রমাণ। ডায়েরির পাতায় লিখেছেন, ‘আমি কখনোও বইপ্রেমী ছিলাম না। অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্যে ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই’। শৈশবকাল থেকেই বাংলা এবং সংস্কৃত ভাষায় অসাধারণ দক্ষতায় কবিতা লিখতে পারতেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ মহকুমার ভাঙ্গাবাড়িতে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রম্যগীতি শুনে কবি রজনীকান্ত সেন হাস্যরসাত্মক গান লিখতে যথেষ্ট উৎসাহবোধ করেছিলেন। ‘বাণী’ ও ‘কল্যাণী’ গ্রন্থ দুটো কান্তকবির গানের সংকলন। শেষজীবনে গীতিকার রজনীকান্ত বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। কন্ঠনালীর ব্যথায় ভুগে বহুকষ্টে দিনাতিপাত করতেন। খুব মর্মান্তিক বিষয়, তাঁর দুটো গ্রন্থের স্বত্ব বিক্রি করে অস্ত্রোপ্রচারের টাকা যোগার করেছিলেন। এতে কিছুটা সুস্থ হলেও চিরদিনের জন্যে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। অবশেষে ১৯১০ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে দেশবাসীকে চোখের জলে ভাসিয়ে চিরবিদায়ের দেশে পাড়ি দিলেন।
Comments are off this post