INFORMATION
জুবিন গাৰ্গ: অসমৰ ‘গণ্ডাৰ’ থেকে বাংলার প্রিয় কণ্ঠ
জুবিন গাৰ্গ শুধুমাত্র একজন গায়ক নন, তিনি আসাম এবং সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি সাংস্কৃতিক আইকন। যদিও তিনি মূলত অসমীয়া ভাষার জন্য বিখ্যাত, তার কণ্ঠস্বর এবং সঙ্গীত বাংলা সংগীতজগতকেও সমৃদ্ধ করেছে এবং তিনি বাংলা গান দিয়ে লক্ষাধিক বাংলা ভাষী হৃদয় জয় করেছেন।
প্রারম্ভিক জীবন:
জুবিন গাৰ্গের জন্ম ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর আসামের জোড়হাটে। শৈশব থেকেই তিনি সঙ্গীতের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন এবং খুব অল্প বয়সেই গান গাওয়া শুরু করেছিলেন।
বাংলা সঙ্গীতে অবদান:
জুবিন গাৰ্গ বাংলা চলচ্চিত্র এবং অ্যালবামের জন্য অসংখ্য গান গেয়েছেন। তার শক্তিশালী এবং আবেগপূর্ণ কণ্ঠ বাংলা গানগুলিতে একটি独特 মাত্রা যোগ করে। বাংলা গানের জগতে তার কিছু জনপ্রিয় গান হল:
“ইয়ে দুনিয়া ইয়ে মেহফিল” – এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গান যা বাংলা এবং হিন্দি উভয় ভাষাতেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।
“তুমি আসবে বলে” – একটি মর্মস্পর্শী প্রেমের গান।
“মন চায়ে” – একটি মেলোডিয়াস এবং হৃদয়গ্রাহী গান।
তিনি অনুমন চলচ্চিত্রের গানগুলিতেও কণ্ঠ দিয়েছেন, যা বাংলা দর্শকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে।
সঙ্গীতশৈলী:
জুবিন গাৰ্গের সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল তার গায়কীর স্বতঃস্ফূর্ততা এবং আবেগ। তিনি জনপ্রিয়, আধুনিক, লোকগীত, ভক্তিগীত থেকে রক – সব ধারার গানেই সমান দক্ষ। তিনি একজন দক্ষ সংগীত পরিচালক, সুরকার এবং অভিনেতাও বটে।
বিশেষত্ব:
তাকে প্রায়ই “গণ্ডার” (আসামের একটি প্রতীক) ডাকা হয়, কারণ তার কণ্ঠস্বর অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত। তিনি তার সোচ্চার ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক বিষয়ে তার মতামতের জন্যও পরিচিত।
উপসংহার:
সংক্ষেপে, জুবিন গাৰ্গ হলেন এমন একজন শিল্পী যার প্রতিভা ভাষার সীমানা অতিক্রম করে। বাংলা গানপ্রেমীদের কাছে তিনি একজন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় এবং প্রিয় কণ্ঠশিল্পী। সঙ্গীতের মাধ্যমে তিনি আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন রচনা করেছেন।

