মায়ের হাতের রান্না
আড় মাছের পুরপুরি: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
বলতে কোনও দ্বিধা নেই, আমার মায়ের রান্নার হাত ছিল অসাধারণ! মায়ের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল, আয়োজনে আড়ম্বর না করেই একটা অনবদ্য পদ বানিয়ে ফেলার ক্ষমতা! কত সাধারণ জিনিস দিয়ে মা যে কত সুন্দর-সুন্দর পদ রেঁধে ফেলতেন, তা চেখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মায়ের হাতের যে পদটা আমি সবচেয়ে বেশি মিস করি, সেটা হল “মাছের পুরপুরি। নামটা শুনেই চমকে গেলেন তো? ওটাই তো মজা! এই রেসিপি রান্নার কোনও বইতে কোনওদিন পাবেন না। কারণ, এটা ছিল মায়ের একান্ত নিজস্ব রিসিপি। ব্যাপারটা অনেকটা মাছের তরকারির মতো। ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে কাটা আড় মাছের সঙ্গে নানান সব্জি মিশিয়ে বেশ মাখা-মাখা করে রান্না, সে এক দারুণ ব্যাপার! খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আমার যথেষ্ট বাছবিচার আছে, কিন্তু দেখুন, মায়ের হাতে তৈরি পদটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমার জিভে কেমন জ্বল চলে এল..
উপকরণ
বড় চার টুকরো আড় মাছ
একটা বড় আলু
১৫০ গ্রাম পেঁয়াজকলি
একটা মাঝারি বেগুন
দুটো পেয়াজ কুচনো
চার-পাঁচটা কাঁচালঙ্কা
এক টেবিল চামচ রসুন বাটা
এক চা-চামচ হলুদ গুড়ো
হাফ চা-চামচ কাশ্মীরিলঙ্কা
সরষের তেল পরিমাণ মতো
নুন স্বাদ মতো
কেমন করে রাধবেন
মাছের পিসগুলি ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নিন। পাত্রে তেল গরম হলে মাছের মিনি টুকরোগুলি কড়া করে ভেজে নিয়ে আলাদা করে রাখুন। আবার পাত্রে তেল দিন, তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, হলুদ গুড়ো, কাশ্মিরীলঙ্কা গুড়ো ও কাঁচালঙ্কা চিরে দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। কষানো হলে তার মধ্যে পেয়াজকলি, ছোট ছোট ডুমো করে কাটা আলু, বেগুন দিয়ে নেড়ে নিন। অল্প ভাজা-ভাজা হলে মাছ দিয়ে নাড়ুন। একটু জল দেবেন। খেয়াল রাখবেন যাতে সবজিগুলো গলে না যায়। | মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন।
আনন্দলোক পত্রিকা থেকে নেওয়া
Added by
admin
WRITE A COMMENT
You must be logged in to post a comment.
WRITE A COMMENT
You must be logged in to post a comment.
No comments yet